নিজস্ব প্রতিবেদক : বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, সাংবাদিকরা হলেন সত্যিকারের নায়ক। তারা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে আন্তরিকতা দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
তারা দেশের জনগনকে করোনাভাইরাসের প্রভাব অবহিতকরন ও এ সংক্রান্ত সকল ভুল তথ্য দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছেন। তারা আমাদের কাছ থেকে অপরিসীম কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবীদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী’কে সাংবাদিকদের জন্য ২৫ হাজার পিস মাস্ক হস্তান্তরকালে তিনি একথা বলেন।
বুধবার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বিজিএমইএ অফিসে ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী’কে ২৫ হাজার পিস মাস্ক হস্তান্তর করেছেন। এ সময় বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, ডিআরইউ এর সাধারন সম্পাদক মসিউর রহমান খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো ও সংক্রমণের বিস্তার রোধের জন্য যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বিশেষ করে মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই এবং একইসাথে মহামারি মোকাবেলায় গন টিকাদানেরও কোন বিকল্প নেই। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী গনমাধ্যম কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে মাস্ক প্রদানের জন্য বিজিএমইএ’কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।
উল্লেখ্য, বিজিএমইএ মনেপ্রানে বিশ্বাস করে যে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের বাইরেও সমাজের প্রতি বিজিএমইএর দায়িত্ব আছে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজিএমইএ সমাজের কল্যানে অনেক কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালীন নজিরবিহীন সংকটে বিজিএমইএ সীমিত সম্পদ নিয়েই সম্মুখ সারির যোদ্ধা ও দরিদ্র জনগনের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
বিজিএমইএ সম্মুখ সারির যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কাষ্টমস, সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার মাঝে ১০ লাখ পিস মাস্ক বিতরণ করেছে।