অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ দিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) ওয়াশিংটনে শেষ হওয়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম অংশীদারত্ব সংলাপে এ বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইট ও ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও রাজনীতিবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হেইলের যৌথ সভাপতিত্বে অংশীদারত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দল মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছে দুই দেশের প্রতিনিধি। বাংলাদেশ আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের বিষয়ে শেখ হাসিনার ঘোষণার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে যে সব বিশেষায়িত সামরিক তথ্য বিনিময় হয়েছে, তার সুরক্ষার জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মতি জানিয়েছে।
সংলাপে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এর মূল উৎসে যাওয়ার পাশাপাশি স্বেচ্ছা, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি যে মিয়ানমারের জন্য জরুরি, তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে দুই দেশ। নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়তি তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ দিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে একমত হয়েছে দুই দেশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসা অব্যাহত রাখবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মান ও চর্চার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রম অধিকার ও কর্ম পরিবেশের নিরাপত্তায় অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন এগিয়ে নিতে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।