নিউজ ডেস্ক : অনেকেই মনে করেন কম কেনাকাটা করলে টাকা বাঁচবে। বিষয়টি তেমন নয়। টাকা বাঁচানোর জন্য কোনো কিছুই যেন ‘কম’ করতে না হয় সেজন্য আছে কিছু কৌশল। জেনে নিন সেই কৌশলগুলো কী কী-
ডিসকাউন্টের অপেক্ষা করুন : যেকোনো ব্র্যান্ডই বছরের একটা সময় ডিসকাউন্ট সেল দেয়। বুদ্ধিমান দম্পতিরা সেসময়ই সারা বছরের পোশাক কিনে রাখেন। তাতে দামি ব্র্যান্ডের পণ্য বেশ সস্তায় পেয়ে গেলেন, আবার কেনাকাটাতেও টান পড়ল না।
ছুটির দিন মানেই বাইরে খাওয়া নয় : ছুটির দিনে বেড়াতে বা বাইরে খেতে গেলে বাজেট বাড়বেই। আবার দেখা যায় এই খাওয়ার আয়োজন সারতে সারতে ছুটিটাই শেষ হয়ে যায়। তাই অফিসের খাওয়াটা যেদিন বাইরে খেতেই হবে, সেদিনই প্ল্যান করুন সঙ্গীকে নিয়ে বাইরে খাওয়ার। আর ছুটির দিনে বাইরে ঘোরাঘুরির প্ল্যান থাকলে বাসা থেকেই খাবারের ব্যাগ নিয়ে গেলে মন্দ হয় না।
অর্ধেক সঞ্চয় : খরচের পর সঞ্চয় নয়। সঞ্চয়ের পর খরচ-এ নীতি মেনে চলুন। এমনও হতে পারে যে, দু’জনেই চাকরি করছেন, তো একজনের বেতন জমতে থাকুক যৌথ কোনও ডিপিএস একাউন্টে বা সঞ্চয়পত্রে। বাদবাকি টাকাতেই চালাতে হবে সংসার, এটা মেনেই খরচ করুন। তবে দেখবেন অল্পতেই বড় অংকের অর্থ জমে যাবে।
তবে এ কাজের আগে আলোচনা করে নেওয়াই ভালো। আবার বিষয়টা নির্ভর করছে পারস্পরিক আস্থার ওপরও। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও ‘সব ডিম এক ঝুড়িতে’ রাখা যাবে না। মানে প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্নি সঞ্চয় হিসাব খুলুন। ব্যবসার চিন্তাভাবনা থাকলেও পুরো সঞ্চয় এক ব্যবসায় ঢেলে দিতে যাবেন না।
চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ : বেতনে যেমন মেডিকেল ভাতা বরাদ্দ থাকে, তেমনি সেই টাকা চিকিৎসার জন্যই একেবারে আলাদা করে তুলে রাখুন। এতে ডাক্তার বা হাসপাতালে যেতে না হলেও টাকা তো বাঁচল। বেসিক বেতনটাকেই খরচের মূল টাকা ভাবুন। এতে উচ্চাকাঙ্ক্ষার চক্র থেকে মুক্তি মিলবে।
হিসাব রাখুন : মাস শুরুর আগেই মাসের খরচের তালিকা করে নিন। প্রতিটি খরচ টুকে রাখার অভ্যাস করুন। তখন দেখবেন টাকাটা এতদিন কোন দিক দিয়ে ‘নেই’ হয়ে যেত। আর তখনই মনযোগী হবেন টাকা বাঁচাতে।