মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য পেয়ারপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ওয়াহিদ তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করেছে এলাকাবাসী। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলে দাবি মাদারীপুর সদর থানার ওসির।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য পেয়ারপুর এলাকার ওয়াহিদুল তালুকদারের ছেলে রিয়াদের সাথে একই এলাকার সাব্বিরের দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে সোমবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির ও তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওয়াহিদ তালুকদারের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়রা ওয়াহিদকে উদ্ধার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ফরিদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে ওয়াহিদ মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনরা দৃষ্ঠান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহতের ছেলে রিয়াদ বলেন, আমার বাবাকে যারা খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এমন শান্তি দেওয়া হোক যাতে আগামীতে কেউ মানুষ খুন করার সাহস না পায়।
নিহতের মেয়ে স্বর্ণা আক্তার বলেন, আমার বাবাকে সাব্বির খুন করেছে। তার ফাঁসি চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, নিহতের ঘটনা শোনার পরই আমরা এলাকায় গিয়েছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুনের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।