সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ২২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বুধবারই নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বুধবার নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজের নিবন্ধন কার্যক্রম আগামী ২২ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
শনিবার হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা নিবন্ধনের অর্থ গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের নিবন্ধিত সব হজযাত্রী ও প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক নম্বর ২৫৯২৪ পর্যন্ত এ বছর হজের নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের সব নিবন্ধিত ব্যক্তি এবার নিবন্ধনের আওতায় আসবেন।
হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য আবশ্যিকভাবে পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করে নিবন্ধন তথ্য পূরণ করতে হবে। হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ হজের দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। হজযাত্রীর দাখিল করা পাসপোর্টের যথার্থতা অনলাইনে যাচাই করা হবে।
নিবন্ধনের পর কোনো হজযাত্রী হজে যেতে না পারলে শুধু বিমান ভাড়া ও খাবার বাবদ নেয়া টাকা ফেরত পাবেন। তবে বিমানের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর হজযাত্রা বাতিল করলে বিমান টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।