ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (৪ জুন) সকাল ১১টা থেকে ১২.৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
‘খ’ ইউনিটে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৬৫জন। এ বছর এই ইউনিটটিতে আসন রয়েছে ১ হাজার ৭৮৮টি। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেবে প্রায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এদিন সকাল ১১.১৫টায় কলা ভবনস্থ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
এর আগে, ভর্তি পরীক্ষা প্রথম দিনে শুক্রবার (৩ জুন) সকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে এবারে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
সারাদেশে মোট ৩০ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন। এবারে শিক্ষাবর্ষে ‘গ’ইউনিটে আসন সংখ্যা ছিল ৯৩০টি। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা মোট পাঁচটি। পাঁচটি ভিন্ন দিনে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষার ইউনিট প্রধানগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক বিষয়ে এগুচ্ছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কোনো গুজব বা তথ্য পাওয়া গেলে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে এটা আসলেই নাকি গুজব। গুজব হলে পুলিশকে ইনফর্ম করা হয় এবং পুলিশ একটি সতর্কবার্তা দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেছেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিলো ৯৮ শতাংশের বেশি। এতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক যে তথ্য আমরা পেয়েছি সে অনুযায়ী খুলনায় ৯৮.৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৮.৫ শাবিপ্রবিতে ৯৭.৪৯ শতাংশ, চবিতে ৯৮. ৩৪ শতাংশ উপস্থিতি ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এর কাছাকাছি। সবমিলিয়ে ৯৮ শতাংশের উপরে উপস্থিতি ছিল বলা যায়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয়বারের মত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকদের অর্থ এবং শ্রমকে লাঘব করার এ উদ্দেশ্যে বিভাগীয় শহরের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ আমাদের সহায়তা করছেন। গতবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আরও সুন্দর ও সহজভাবে এ পরীক্ষা আয়োজনে ডিনরা কাজ করেছেন। সে ধারাবাহিকতায় এবারও সুষ্ঠুভাবে ঢাবিসহ অন্যান্য সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।