বিশেষ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রত্যক্ষ আয়কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ, কালো টাকা উদ্ধার ও ব্যাংকখাতে দুর্নীতি-লুটপাট প্রতিরোধ করে ঘাটতি মোকাবেলার কোনো বাস্তব প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকৌশল এ বাজেটে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ।
বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। জাসদ দফতর সম্পাদক ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, বাজেটের আকার গত কয়েক বছরের মতো ক্রমবর্ধমান ও সেইসঙ্গে বিদায়ী বছরের সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার করুণ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পাশাপাশি বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণের লজ্জা ঢাকতে দিয়ে পরের বছর আরও বড় আকারে বিদেশি ঋণের ফাঁদে দেশ আটকে যাচ্ছে।
তারা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার পরিসংখ্যান দেখিয়ে আত্মতুষ্টি আছে, কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি যে বেকারদের কাজ সৃষ্টি করছে না, উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না, বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য বাড়িয়েই চলেছে- তার জন্য উদ্বেগটুকুও নেই, সমাধানের পদক্ষেপ তো দূরের কথা।
নেতৃদ্বয় বলেন, অর্থনৈতিক প্রবাহ অব্যাহত রাখার কথা বলে বড় বড় ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের একচোখা সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা এ বাজেটে রয়েছে, কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা জোগানো প্রান্তিক কৃষকের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা নেই, কৃষকের পণ্যের মূল্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই, শিল্প অর্থনীিতর নিরাপত্তা জোগানদার শ্রমিকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনো নতুন পদক্ষেপ এ বাজেটে নেই।
তারা আরও বলেন, হতদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবলয় ও আকার কিছুটা হলেও বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু দেশের উন্নয়ন পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রান্তিক মানুষদের জন্য এ পদক্ষেপ পর্বতের মূষিক প্রসবের মতোই। গতবারের তুলনায় এ বছর শিক্ষাখাতে বাজেট বেড়েছে সত্য, কিন্তু সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষার জন্য এখনও তা খুবই অপ্রতুল। আর স্বাস্থ্যখাত বরাবরের মতোই বঞ্চিত, এ বঞ্চনা দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কীভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হবে তা দেশবাসীর বোধগম্য নয়।