তবে বানভসিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার পাশাপশি আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিলেট জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে ঈদুল আজহাকে ঘিরে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন
এ দিকে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীতে ৬টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব হাট থেকে পশু কিনতে ক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি এর বাইরে অবৈধ হাট বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, নগরীর কাজীরবাজার, মাছিমপুর কয়েদীর মাঠ, দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অব্যবহৃত জায়গা ছাড়াও শাহপরান থানা এলাকায় আরো তিনটি পশুর হাট বসবে। এর বাইরে হাট বসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলেই সিলেটজুড়ে অবৈধ পশুর হাট বসে। প্রশাসনের বাধা সত্তে¡ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় প্রতি বছরই অবৈধ হাট বসায় প্রভাবশালীরা। এবারও নগরীর উপশহর, তেররতন, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহ, আখালিয়া, দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পশুর হাট বসাতে তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, এবার তারা অবৈধ হাট উচ্ছেদে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
জানা গেছে, ঈদুল আজহায় সিলেট নগরে ৮টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য আবেদন করেছে সিটি কর্পোরেশন। সেগুলো হলো- আম্বরখানা আবাসন সংলগ্ন মাঠ, চৌকিদেখি পয়েন্ট সংলগ্ন রাস্তার উপর, রিকাবীবাজার পয়েন্ট সংলগ্ন রাস্তার জায়গা, মদিনা মার্কেট নবাবী মসজিদ সংলগ্ন জায়গা, মাছিমপুর কয়েদীর মাঠ, টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন রাস্তার উপর, দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অব্যবহৃত জায়গা, ঝালোপাড়া মসজিদ সংলগ্ন জায়গা। তবে জেলা প্রশাসন ৬টি হাটের অনুমতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, আমরা অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। ঈদের আগে অনেকেই মাঠ দখল করে হাট বসিয়ে দেয়। যাতে অবৈধভাবে কেউ হাট বসাতে না পারে এসব বিষয় মাথায় রেখে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক যদি অনুমতি প্রদান করেন। তবেই বসবে পশুর হাট।
এ বিষয়ে বুধবার সিলেটের ডিসি মো. মজিবর রহমান বলেন, সিসিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬টি হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তাই এগুলো বৈধ হাট। এর বাইরে কোনো হাট বসলে আমরা ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব বিষয় তদারকি করার জন্য মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন।