যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য বিকল্প ফ্লাইট ও অতিরিক্ত আসন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৯ জুন) এ ঘোষণা দেয় মন্ত্রণালয়টি। খবর আরব নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সৌদি সরকার হজযাত্রীদের দ্রুত ভিসা ইস্যু করবে।
এর আগে হজযাত্রীরা আবেদন করার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়। মোতাউইফ নামে ওই অনলাইন পোর্টালে সীমিত আসনসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা ছিল। আরব নিউজের সাপ্তাহিক রাজনৈতিক টকশোতে মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হজ ও ওমরাহ পরিষেবার উপমন্ত্রী হেশাম এ সাঈদ জানিয়েছেন, মোতাউইফ পোর্টালে হজযাত্রীরা যে প্রযুক্তিগত সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন তা ‘সমাধান ও মোকাবিলা’ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, `আমি এখন আশ্বস্ত করছি, সবাই বিমানের টিকিট কাটতে পারবেb। এখন এটি সমাধানযোগ্য।’
হেশাম এ সাঈদ আরও জানান, তাদের কাছে বিমানের টিকিট রয়েছে এবং এখন সবকিছু সমাধান করা হয়েছে।
হজ উপমন্ত্রী আরও জানান, এখনো হজযাত্রীদের সময় আছে। হজ মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। হজ মৌসুম শুরু হতে আমাদের হাতে আরও কিছুদিন আছে। হজযাত্রীদের অসুবিধা আমরা সমাধান করছি। ইতোমধ্যে মোতাউইফ কোম্পানি সমস্যা সমাধান করেছে। ইনশাআল্লাহ, খুব চমৎকার ও মসৃণভাবে পোর্টালটি এখন কাজ করছে।
এ বছর যারা হজ করতে পারছেন
আগে পশ্চিমা দেশগুলোর মুসলমানরা ট্র্যাভেল এজেন্সি ও হজ ট্যুর এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে পারতেন। কিন্তু এখন হজযাত্রীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়ায় তাদের সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া কারা আবেদন করার যোগ্য, তার ওপরও বিধিনিষেধ রয়েছে।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হজপালনকারীদের বয়স হতে হবে ৬৫ বছরের নিচে এবং তাদের অবশ্যই পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া থাকতে হবে।
মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের চাহিদা মোকাবিলায় সৌদি সরকার হজযাত্রার জন্য ই-লটারি পদ্ধতির ব্যবস্থা করেছে। যারা আগে একবার হজ করেছে, তাদের এবার প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না।
ইসলামের মৌলিক স্তম্ভের একটি হলো হজ। এটি মুসলমানদের জীবনে একবার পালন করা ফরজ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশের মধ্যে অন্যতম।
২০১৯ সালে ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করেন। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ১ হাজার হজযাত্রীকে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। ২০২১ সালে টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়াদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার হজযাত্রীকে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হয় হজের জন্য। আর এ বছর (২০২২) ১০ লাখ মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছে।