রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরম পূরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে! ইভানা তালুকদার জনগণের মতামত নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক শিক্ষার্থীদের  ফরম পূরণের অনিয়য়ে শ্রেণি শিক্ষক দায়ী ; ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার মানবিক সহায়তায় ৩০ মিলিয়ন ডলার দিল সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ ‘ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে’ আজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন নতুন ৩ দিবসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে সরকার সাবেক মন্ত্রী ইমরান ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাস্তবতা, প্রস্তুতির বিকল্প নেই

বহুল ব্যবহৃত ৫৩ ওষুধের দাম ‘অযৌক্তিকভাবে’ বাড়ল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
  • ২০১ বার পঠিত

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে এবার সাধারণ মানুষের ওপর চাপল ওষুধের বাড়তি দামের বোঝা। বাজারে হঠাৎই চড়া প্যারাসিটামলসহ বহুল ব্যবহৃত ৫৩ ওষুধের দাম। বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতা। এই দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বর, ঠান্ডার মতো সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত প্রাথমিকভাবে পরামর্শ দেয়া হয় প্যারাসিটামল ওষুধের। অথচ হঠাৎই বেড়ে গেল দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন এ ওষুধের দাম। প্রতি পাতা প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা। আর সিরাপ ১৮ টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া এমন ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

২৪ টাকার এমোক্সিসিলিন ইনজেকশনের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। ২১ টাকার প্রোমেথাজিন ৩৫ টাকা। এভাবে কোনো কোনো ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কোনোটির দাম বাড়ার হার ১৩২ শতাংশ। ওষুধের বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

ক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মানুষের জন্য তো এটা একটা বাড়তি বোঝা হয়ে গেল। ওষুধ ছাড়াও সব কিছুর দাম যেভাবে হঠাৎ বেড়ে গেছে, সেই হিসেবে আয় তো বাড়েনি। এটা সবার জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়াল। এর মধ্যে মধ্যবিত্তদের চলতে তো কষ্টটা আরও বেশি হয়ে গেল।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, কাঁচামালের দাম বাড়ায় সবকিছু চুলচেরা যাচাই-বাছাই করেই সমন্বয় করা হয়েছে মূল্য।

অধিদফতরের পরিচালক মো. আইয়ূব হোসেন বলেন, প্রধানত আমরা দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছি। সেটা হলো কাঁচামালের মূল্য এবং মোড়ক সামগ্রীর মূল্য। যখন কাঁচামাল এবং প্যাকেজিং পণ্যের মূল্য কমে যাবে, তখন ওষুধের দামও কমে যাবে।

যদিও বহুল প্রচলিত ওষুধের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুল রহমান খসরু বলেন, দুঃখজনক বিষয় হলো যে বাংলাদেশের জাতীয় ওষুধ শিল্পকে ১৯৮২ সাল থেকে এই ৪০ বছর যাবত রাষ্ট্র এক ধরণের সুরক্ষা দিয়েছে। আজ এই মহামারিকালে যুদ্ধ চলা অবস্থায় সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এই সময়টায় ছোট ভাড়টা তাদের কাঁধ থেকে নামিয়ে সাধারণ মানুষের কাঁধে না দিয়ে তারা তাদের চওড়া কাঁধে আরও কিছু দিন বহন করা উচিত ছিল।

সাধারণ মানুষের স্বার্থে ওষুধের বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com