জ্বালানির বৈশ্বিক অস্থিরতায় গুরুত্ব পাচ্ছে নিজস্ব সম্পদের অনুসন্ধানের বিষয়টি। কূপ খনন আর উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আরও ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার। আর এ ক্ষেত্রে শুধু পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ না থেকে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়সহ সার্বিক কার্যক্রমে গতি নিশ্চিতের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জ্বালানির বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তীব্র করে তুলছে ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এ পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে আমদানিনির্ভরতার ঝুঁকি।
টালমাটাল এ অবস্থায় আবারও আলোচনায় নিজস্ব জ্বালানির অনুসন্ধান ও উত্তোলনে এতদিন কাঙ্ক্ষিত গুরুত্ব না দেয়ার বিষয়টি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকদেরও সবকিছু ভাবতে হচ্ছে নতুন করে। যুদ্ধের প্রভাবে আকাশচুম্বী দামের কারণে সরে আসতে হয় এলএনজির স্পট মার্কেট থেকে।
এমন অবস্থায় আমদানিনির্ভরতা কমাতে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ্ জানান, পরিকল্পনায় আছে নতুন কূপ খনন ও পুরোনো কূপ সংস্কারের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ৬১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা। এর মধ্যে বাপেক্সের মাধ্যমে ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি ১২টি ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের মাধ্যমে ১৪টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
তবে অতীতে গ্যাস অনুসন্ধানসহ জ্বালানি বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার নজির রয়েছে। পরিকল্পনায় থাকলেও স্থবিরতা, ঢিমেতাল দেখা গেছে বাস্তবায়নের বেলায়। তাই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে গ্যাস অনুসন্ধানে অর্থছাড়সহ সার্বিক কার্যক্রমে গতি নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
পেট্রোবাংলা বলছে, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ করে দেয়ার ঘাটতি পোষাতে এরই মধ্যে নিজস্ব উৎস থেকে দিনে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে।