স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে দেশের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশেই দেওয়া হবে। স্কুলগুলোতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবে না।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্রর (স্ক্যানো) উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ৪ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ৯০ লাখ মানুষ কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি। দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মৃত্যুর হার শূন্যে এবং আক্রান্তের হার ৪ শতাংশের নিচে। অনেকে টিকার প্রথম ডোজই নেননি। প্রথম ডোজ নিলেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি ৯০ লাখ মানুষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশেই দেওয়া হবে। স্কুলগুলোতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবে না।
স্ক্যানো সম্পর্কে জাহিদ মালেক বলেন, অনেক নবজাতক অপরিপক্ব অথবা অল্প ওজন নিয়ে জন্মায়। সেই নবজাতকদের জন্য বিশেষ একটি ব্যবস্থা হলো স্ক্যানো। শিশুদের এখানে রাখা হয়; এতে তাদের জীবন রক্ষা পায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১৫ শয্যাবিশিষ্ট নবজাতকদের জন্য বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ জন শিশু মৃত্যুবরণ করে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। সে ধারাবাহিকতায় সারাদেশে ৪০ থেকে ৫০টি হাসপাতালে বিশেষায়িত এই সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।