বরিশালে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় ভাশুরসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জিয়া হাওলাদার এবং সিদ্দিক হাওলাদার। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসিন্দা সহিদুলের সঙ্গে ভুক্তভোগীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঐ সম্পর্কের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হলে ২০০৬ সালে সহিদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য ভুক্তভোগীর স্বামী, ভাশুর, শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এরপর সন্তানসহ তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ২০০৭ সালে স্বামী, ভাশুর ও শ্বশুরকে আসামি করে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
ঐ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা বারবার চাপ দিতে থাকেন। তবে ঐ গৃহবধূ তাদের কথামতো মামলা তুলে না নেয়ায় ২০১১ সালের ২২ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগীর বাবার বাড়িতে গিয়ে কৌশলে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন ভাশুর জিয়া হাওলাদার। আর ধর্ষণে সহযোগিতা করেন সহিদুল ইসলাম ও স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা একই বছরের ২৫ আগস্ট একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির।