পুরো বিল পদ্মফুলে ছেয়ে গেছে। প্রকৃতির এ অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য দেখতে অনেকেই আসছেন বেতানি বিলে। পদ্মফুলের সমাহারে দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বসিত। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় শিশু-কিশোররাও খুশি এতে। কারণ পদ্মফুল বিক্রি তারা পড়ালেখার খাতা, কলম এবং জামা-কাপড় কিনতে পারে।
স্থানীয় কিশোর শরিফুল জানায়, স্থানীয় শিশু-কিশোররা বেতানি বিলের পানিতে নেমে পদ্মফুল তুলে এনে বিক্রি করে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফুল বিক্রি করে তাদের ২০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেতানি বিলে ফুটে থাকা পদ্মফুল আভা ছড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের মনে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই ছুটে আসছেন এখানে। সড়কের পাশে এ বিল ঘুরে দেখছেন তারা। বিলজুড়ে ফুটে রয়েছে সাদা আর গোলাপি রঙের পদ্মফুল।
বেতানি বিলপাড়ের বাসিন্দা আজম আলী বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে এ বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন দর্শনার্থীরা। অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পদ্মফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এলাকার কিছু শিশু-কিশোর এই বিলের ফুল বিক্রি করে নিজেদের পড়ালেখার খরচ জোগাচ্ছে। আবার অনেকে ফুল বিক্রি করে পরিবারকে সহযোগিতা করছে।
রংপুর মহানগরী থেকে বেতানি বিলে ঘুরতে আসা রেজাউল ইসলাম জীবন জানান, প্রতি বছর তিনি বর্ষা মৌসুমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ বিলে ঘুরতে আসেন। এ বিলের পদ্মফুলের সমারোহ আর প্রাকৃতিক পরিবেশ মনকে বিমোহিত করে তোলে।