লালমনিরহাটে সদ্য পদায়ন হওয়া পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, মাদক ও চোরাচালানের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদক নির্মূলেই নয় জঙ্গী তৎপরতা, নাশকতাসহ যেকোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ মাদক নিয়ন্ত্রণ কেবল পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। মাদকসহ সব অপরাধ নির্মূল করতে হলে পুলিশের পাশপাশি সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, লালমনিরহাট জেলা একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এর মধ্যে ৫৪.৭৮ কিমি অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে। ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই ভারতের ওপার থেকে মাদক পাচার করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এতেও মাদক কারবারিরা থামছে না। তবে সবার সহযোগিতায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আরও বলেন, মাদকের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্পটে সংগঠিত অপরাধ নির্মূলে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। এক্ষেত্রে তথ্যদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মাদক, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, যানজট, জঙ্গিবাদ, সাইবার ক্রাইম, দাদন ব্যবসা, শহরের বিভিন্ন জায়গায় অহেতুক আড্ডা ও মাদক সেবন, হেলমেটবিহীন মটরসাইকেল আরোহীসহ নানা বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে সদ্য যোগ দেয়া পুলিশ সুপারের দৃষ্টি গোচর করেন।
সদ্য যোগদান করা লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সাংবাদিকদের এ মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের, জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।