সন্ত্রাসী হামলায় আহত যশোরের বেনাপোল ইউনিয়নের আমড়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর আলমের (৬০) মৃত্যু হয়েছে।
৩ দিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত নুর আলম একই গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট নুর আলম একই গ্রামের সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি বাবুর দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন।
নুর আলমের আত্মীয় হামলায় আহত মুন্নি বেগম জানান, গত ২৮ আগস্ট রাতে আমড়াখালী গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বাবু তার দলবল নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাতজনকে জখম করে।
এতে নুর আলমও গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা তাকে দ্রুত শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। নুর আলমের ভাই শাহ আলমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকেও খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ওই এলাকায় ঘটনার দিন থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নুর আলম মারা গেছে তিনি শুনেছেন । অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল পৌর আলীগের সাধারণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক মুকুল জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রামে ন্যায়বিচার করতেন। এতে শত্রু হয়ে ওঠে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাবু। তার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত আটকের দাবি জানাচ্ছি।