মাদারীপুরের সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে হত্যার হুমকি দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত কিশোর ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ছয় মাস আগে কুনিয়া ইউনিয়নের এক কিশোর (১৫) ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি বাগানে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভয় ও আতঙ্কে বিষয়টি পরিবার থেকে গোপন রাখে মেয়েটি।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীর পেটে ব্যথা হলে পরিবারের লোকজন সদর উপজেলার কালিরবাজার এলাকার মোহাম্মদালী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে টিউমার মনে হলেও চিকিৎসক রেজাউল করিম রেজা আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় মাদবরদের জানালে দফায় দফায় নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ ঘটনার ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এলাকার নেতাদের কাছে বলেছি, তারা কোনো সুরাহা করছে না।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মাদবরদের কাছে জানাইছি, তারা শুধু সময় নিচ্ছে সমাধান করার জন্য। এছাড়া হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে সে, তার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।
মোহাম্মদালী মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম রেজা বলেন, মেয়েটির এখন ফুল রেস্ট দরকার। পরিবারের লোকজন বাচ্চা নষ্ট করতে চেয়েছিল। কোনো অবস্থায় বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না। এতে বাচ্চা ও মা দুজনেরই জীবনহানি হতে পারে।
অভিযুক্ত কিশোরের ফুপু বলেন, এটা ষড়যন্ত্র। মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজন ভালো নয়। এছাড়া এলাকার লোকজনের উসকানি রয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তের বাবা গ্রিসপ্রবাসী। ঘটনা জানাজানির পর ওই কিশোর লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। আমরা মেয়ের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।