যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, ২০০৮ এবং ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করে পরাজিত হওয়ায় তিনি আর দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় হিলারি ক্লিনটনকে উপস্থাপক জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন কি না। এর উত্তরে হিলারি ‘না’ বলেন। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নির্বাচনে নিজে লড়াই না করলেও দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সম্মান করেন এবং দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট থাকে তা নিশ্চিত করতে যা যা করা সম্ভব তার সবকিছুই করার প্রতিশ্রুতি দেন হিলারি।
এরপর অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সাবেক মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) আবারও লড়াই (নির্বাচনে) করলে কেমন হবে?’
এর জবাবে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ট্রাম্প এ পদের জন্য আর ‘ফিট’ নন। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করলে হেরে যেতে পারেন।
হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যেই সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটনের একটি ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ছিল। এ খবর প্রকাশের পরপরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন হিলারি। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই।
এদিকে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ইচ্ছা ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জরিপের তথ্য বলছে, রিপাবলিকানদের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
এর আগে গত জুনে টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেছিলেন, জো বাইডেন পপুলার ভোটে ট্রাম্পকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। আমি মনে করি, এর থেকে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়।