জাপানে তাণ্ডব চালাচ্ছে সুপার টাইফুন নানমাদল। এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
উপকূল থেকে গতিপথ পরিবর্তন করে শক্তিশালী টাইফুন নানমাদল তাণ্ডব চালাচ্ছে জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে। অব্যাহত রয়েছে ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাত।
দেশটির ১৪তম শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও আবাসিক স্থাপনা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অঞ্চলটির দুই লাখের বেশি মানুষ।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অন্তত ৯০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
ঘূর্ণিঝড় নানমাদলকে ‘নজিরবিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে আরও বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী টোকিওতে ঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। টোকিও এবং কিউশুর একটা বড় অংশে জারি করা হয়েছে বন্যা সতর্কতা। বাতিল করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট। বন্ধ রয়েছে বুলেটসহ আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল।
এদিকে, শক্তিশালী হারিকেন ফিওনার আঘাতে লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্রের পুয়ের্তো দ্বীপ। হারিকেনের দাপটে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন দ্বীপটির অনেক এলাকা। ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রেও আঘাত হেনেছে ঝড়। এর আগেই সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় কয়েক হাজার বাসিন্দাকে।