জীবনের সবচেয়ে বেদনাব্যঞ্জক শোকাহত পরিস্থিতির মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী নুশরাত জাহান সাথীকে।
বাবার জানাজার শেষে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আত্মীয়স্বজনের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে অংক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তার খালার সাথে উপজেলার মুছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন নুশরাত। কেন্দ্রে এসেও বাবার শোকে বার বার জ্ঞান হারান তিনি।
নুশরাতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর মিয়া বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত কারণে খিলক্ষেত এশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরে রাতেই ঢাকা থেকে নুশরাতের বাবার মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ী কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের নাছিরাকান্দা গ্রামে নিয়ে আসলে স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সারারাত বাবার মরদেহের সঙ্গে বাড়িতে থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার জানাজা শেষে এলাকার কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়ার পর পরীক্ষাকেন্দ্রে যান নুশরাত। নুশরাতের বাবার বয়স হয়েছিলো ৫০ বছর।