স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। আমাদের অন্যতম প্রধান জাতীয় লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। যা অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশি ই-ভিসা বাস্তবায়নও প্রধানমন্ত্রীর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বাংলাদেশে ‘ই-ভিসা’ ও ‘ই-টিএ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই’র রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আল মৌদি।
মন্ত্রী বলেন, আজকের এই এমওইউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে ই-ভিসা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ এবং পর্যটনখাতে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ই-ভিসা সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আজকের দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশ ও ইউএই’র জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় অর্জন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকরা সহজেই ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি, এটি বিদেশি বিনিয়োগ এবং পর্যটনখাতে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু ও অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। দুই দেশের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে। উভয় দেশই ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য। আমিরাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা দুই দেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক ভিত্তি হলো- পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা। আমি বিশ্বাস করি দুই দেশের মধ্যকার বেশ কিছু পারস্পরিক বিষয় রয়েছে। যেগুলোর প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়াতে পারি।