বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার (২১ অক্টোরব) রাতেই খুলনার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনরা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনায় জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকেলের পর থেকে নগরীর কেবি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ২১ রুটের সঙ্গে খুলনার বাস চলাচল বন্ধ; চলেনি লঞ্চও। তাই যে যেভাবে পেরেছেন উপস্থিত হয়েছেন কার্যালয়ের সামনে। নিকট দূরত্বের অধিকাংশই এসেছেন হেটে, আর দূরের নেতাকর্মীরা ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনের মাধ্যমে পৌঁছেছেন সমাবেশস্থলে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টার পরেই কেডি ঘোষ রোড এলাকায় কানায় কানায় মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়। অনেকে রাতে রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার জন্য মাদুর, বালিশ, পেপার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। এদিকে ডাকবাংলা মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ।
বিএনপি নেতারা জানান, তারা রাতে সেখানেই অবস্থান করেছেন। আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় শুরু হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এদিকে রাতে যারা সামাবেশস্থলে পৌঁছেছেন তাদের সময় কাটছে গল্প-আড্ডা, গান আর স্লোগানে। অনেকেই সময় কাটাতে ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন, সেলফি তুলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রাতে থাকার জন্য বালিশ-কাথা, চাদর সঙ্গে নিয়ে আসেন।
শুক্রবার সকালে খুলনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, সমাবেশ কেন্দ্র করে ধরপাকড় চলছে। পথে পথে দেয়া হচ্ছে বাধা এবং অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
এদিন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। সেখানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। খুলনার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণার পর কোনো প্রতিবন্ধকতাই বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশের জনস্রোতকে রুখতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘খুলনা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতি’ বুধবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন যদি সড়কে ওই অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না করে, তাহলে পরবর্তী দুই দিন ২১ ও ২২ অক্টোবর মালিক সমিতির সব রুটের গাড়ি বন্ধ থাকবে।’