প্রতি বছর উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত কাহিল করে তুলে মানুষকে। এর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে দেশের উত্তরে দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম ও রাতের বেলা শীত অনুভূতি হলেও গতরাত থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। অনেক বেলা পর্যন্ত দেখা নেই সূর্যের। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুরো দিনাজপুর, রংপুর বাগেরহাট, পঞ্চগড়সহ বেশ কিছু এলাকায় কুয়াশায় ঢাকা পড়ে, বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে। দুপুর ১২টার পর রোদের দেখা মিললেও আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করেছে যানবাহন।
বিশেষ করে সিত্রাংয়ের ঝড়-বৃষ্টি পর থেকেই হঠাৎ যেন শীত জেঁকে বসেছে বাগেরহাট জেলার মোংলায়। রাতে ও ভোরে বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে, সেই সঙ্গে রয়েছে বাতাসও। রাত ও ভোরে কুয়াশাচ্ছন্নতায় বন্দরের পশুর ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘সাধারণত নভেম্বরে শীত পড়তে শুরু করলেও এবার সিত্রাং আগাম শীতের বার্তা নিয়ে এসেছে। ঝড়ের আগে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও ঝড়ের সময় ছিলো ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এখন বর্তমানে ৩১ ও ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তাই আগেভাগে শীত পড়তে শুরু করেছে।
উত্তরের বিভাগীয় শহর রংপুরে তিন দিন ধরে খানিকটা বৈরী আবহাওয়া। দিনের বেলা গরম থাকলেও বিকেল থেকে শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। বাসাবাড়িতে রাতে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। দিনের বেলা চালু থাকলেও থেমে থেমে পাখা বন্ধ করতে হয়।
দিনাজপুরের আবহওয়া কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল অক্টোবর মাসে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। নভেম্বরের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করার কথা।এছাড়া লঘুচাপ ও বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস ছিল। ইতোমধ্যে লঘুচাপ ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এখন থেকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আজ এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।