শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে উচ্চশব্দের মাইক ব্যবহার বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, শব্দ দূষণের ফলে ৩০ ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানো ও নিয়ন্ত্রিত আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শব্দদূষণের কারণে শিশু মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, অমনোযোগিতা সৃষ্টি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে। এসব ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে শব্দদূষণের সব উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে। বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্প। শুধু মামলা ও শাস্তি দিয়ে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে গাড়িতে সঠিক মাত্রার হর্ণ লাগাতে হবে, গাড়িচালককে অযথা হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে হবে। নির্মাণ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দের মাইক ব্যবহার বর্জন করার পরামর্শ দেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনা, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।