ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে প্রথম দফায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তী ওয়েইন রুনি। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর সম্পর্কের অবনতি হলেও শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এমনটাও বলা যাবে না। সমবয়সী রোনলাদোকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রুনি, যা খুব একটা ভালো লাগেনি পর্তুগিজ তারকার। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুনিকেও একহাত নিয়েছেন তিনি।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাজে সময়ের মধ্যে থাকা রোনালদো মনে করেন, তার সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়েই এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে থাকেন তার সাবেক সতীর্থ রুনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদ-য়্যুভেন্তাসেও দারুণ সফল ক্যারিয়ার গড়েন রোনালদো। নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরার কাতারে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় দফায় ফিরেও গত মৌসুমে ছিলেন দলের সেরা খেলোয়াড়। ২০২১-২২ মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ১৮ গোল নিয়ে ছিলেন লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দারুণ বাজে সময় পার করছেন তিনি।
এরিক টেন হ্যাগ দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একরকম ব্রাত্য রোনালদো। চলতি মৌসুমে খেলার সুযোগ বলতে মাঝে মাঝে প্রথম একাদশে সুযোগ ও অধিকাংশ ম্যাচেই বদলি হিসেবে নামা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে তো বদলি হিসেবে রাখলেও মাঠেই নামানো হয়নি তাকে।
ক্লাবের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ রোনালদো বেশ কয়েকবার ভেঙেছেন শৃঙ্খলা। আচরণের জন্য পেয়েছেন শাস্তিও। তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দলের সাবেকরাও। ২০০৯ সাল পর্যন্ত রোনালদোর সতীর্থ হিসেবে খেলা রুনিও আছেন এই তালিকায়।
সম্প্রতি টকস্পোর্টে দেয়া সাক্ষাৎকারে রুনি বলেন, রোনালদোর আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং তাকে ছাড়াই ভালো খেলে ইউনাইটেড।
পিয়ার্স মরগানকে দেয়া আলোচিত সাক্ষাৎকারে রুনিকে তাই ‘বাজে’ মন্তব্যের জন্য একহাত নিয়েছেন সিআর সেভেন।
তিনি বলেন, আমি জানি না কেন সে আমাকে এত খারাপভাবে সমালোচনা করে। সম্ভবত এজন্য যে, তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে এবং আমি এখনও শীর্ষ স্তরে খেলছি।
!
রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি না যে আমি তার চেয়ে দেখতে ভালো। যা সত্যি… !
উল্লেখ্য, রোনালদোর মতোই রুনির বয়স ৩৭ হলেও দুবছর আগে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানিয়ে কোচিং পেশায় মনোনিবেশ করেন তিনি। এই মুহূর্তে মেজর লিগ সকারের দল ডিসি ইউনাইটেডের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।