মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দুই নারীসহ সাতজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
২০১৭ সালের পর দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইথিওপিয়া ও কুয়েতের একজন করে নারী এবং তিনজন কুয়েতি, একজন সিরীয় ও একজন পাকিস্তানি পুরুষ রয়েছেন।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটি রাজপরিবারের একজন সদস্যসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আহ্বান সত্ত্বেও ওই সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
সৌদি আরবে হেরোইন চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুই পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কয়েক দিন পর কুয়েতের সরকার বুধবার হত্যায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোষণা দেয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে মৃত্যুদণ্ড বাতিলে কুয়েত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে সংস্থাটি মৃত্যুদণ্ডের বিধানকে ‘চূড়ান্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অপমানজনক শাস্তি’ বলে অভিহিত করে।
অ্যামনেস্টির আঞ্চলিক উপপরিচালক আমনা গুয়েল্লালি এক বিবৃতিতে বলেন, কুয়েতি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর আনুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ জারি করতে হবে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তি ব্যাপক মাত্রায় চর্চা করা হয়। বিশেষ করে ইরান ও সৌদি আরবে এ আইন প্রায়ই প্রয়োগ করতে দেখা যায়। চলতি বছরের মার্চে এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল এই দুই দেশে।
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে কুয়েতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু হয়। এরপর থেকে দেশটিতে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।