তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পশ্চিম ইউরোপে চলতি বছর ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কেবল ফ্রান্সেই মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এদিকে পশ্চিম ইউরোপজুড়ে দাবদাহের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন না কমানো গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা তাদের।
চলতি বছর গ্রীষ্মে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে ইউরোপ। দাবানলে পুড়েছে অনেক এলাকা, ছিল খরাও। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগের নতুন প্রকাশিত তথ্য বলছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ইউরোপে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।
চলতি গ্রীষ্মে লন্ডনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৪২ এবং স্পেনে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। এ বছরের ১ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন এবং ওয়েলসে দাবদাহের কারণে ৩ হাজার ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা বিগত পাঁচ বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
একই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে ফ্রান্স। এ বছরের গ্রীষ্মে দেশটিতে ১০ হাজার ৪২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে স্পেন ও জার্মানিতে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি এবং পর্তুগালে ৩ হাজার ২০০ মানুষ মারা গেছেন।
পশ্চিম ইউরোপজুড়ে দাবদাহের প্রধান কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা তাদের।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্য ধনী দেশগুলো নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব বলেও মনে করছেন অনেকে।
আর উষ্ণায়ন না কমানো গেলে দাবদাহ, খরা ও দাবানলে বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত হবে এবং এতে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।