দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কক্সবাজারে বিকেলে জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ জনসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ জনসভাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি আয়োজনে অংশ নিতে একদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী চার দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২-তে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ও জনসভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ উৎফুল্ল রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানকে স্বাগত জানাতে গোটা শহর যেন রঙিন সাজে সেজেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, সাধারণত মানুষ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারে আসেন। কিন্তু বুধবার জেলাটির বিভিন্ন এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে দেখতে ও তার কথা শুনতে এ জনসভায় আসবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমকে বলেন, এ জনসভায় কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে মানুষকে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। এ জেলার মানুষই সমাবেশটিকে জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে উদ্গ্রীব হয়ে আছে। এ শহরে গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। শহরটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে এ জেলায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। যদি কিছু প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) অবশ্যই আমাদের তা দেবেন।’
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনগণ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রীকে সরাসরি দেখতে ও তার কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেতে আগ্রহী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার সফর করেন। তখন তিনি কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার সঙ্গে সংগতি রেখেই জেলায় ৪০টি মেগা প্রকল্পসহ সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার মানুষ ব্যাপক এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল পেতে শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভা প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা উপলক্ষে তারা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন সড়কে রঙিন তোরণ ও প্রবেশদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও তার ছবিসংবলিত ব্যানার দিয়ে সড়কগুলো সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে।