তবে এবারের বিশ্বকাপে মেসিদের শুরুটা সুখকর হয়নি। প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের মতো দলের কাছে হেরে। তবে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটা এরপর বেশ ভালোভাবেই ফিরে এসেছে। দলের দুর্দান্ত এ কামব্যাকে সবচেয়ে বড় অবদান কাপ্তান লিওনেল মেসির।
বিশ্বকাপের এ মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। গোল করা এবং করানোতে মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন ২০-২২ বছর বয়সী তরুণের মতো। মেসির এই অবিশ্বাস্য ফর্ম-ই জুনিয়র খেলোয়াড়দের জোগাচ্ছে আত্মবিশ্বাস।
তবে দলের পুরো ভরসা যেই কাঁধের ওপর সেই মেসিকে নিয়ে রয়েছে দুঃসংবাদ। দলের অন্যতম ভরসা ছিটকে যেতে পারেন আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচে! অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টস অন্তত তা-ই জানাচ্ছে।
ঐ গণমাধ্যমটির দাবি, নেদারল্যান্ডস আর্জেন্টিনা ম্যাচে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়তে পারেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা।
আরো পড়ুন>>> বিশ্বকাপে শ্বশুরবাড়ির বিপক্ষে সেমিফাইনালে লড়বেন এই তারকা খেলোয়াড়
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে মেসির আচরণ নিয়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটির রিপোর্ট তলব করেছে ফিফা। যথোপযুক্ত কারণও আছে অবশ্য। ম্যাচটিতে নিজের চিরাচরিত স্বভাবের বাইরে গিয়ে বেশকিছু কাজ করেছেন সাবেক বার্সা তারকা। ডাচ কোচ ফান হালের সঙ্গে তর্কে জড়ানো হচ্ছে এর মধ্যে একটি। এছাড়া গোল করার পর অদ্ভুত উদযাপনের পাশাপাশি ম্যাচের রেফারি নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে দফায় দফায় ঝামেলায় জড়ান ফুটবলাররা। রেফারি একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরো উত্তপ্ত। এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন।
এরপরই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক নিজেও নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। এছাড়া পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। শৃঙ্খলাভঙ্গের এসব অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে ফিফা। এমনকি টুর্নামেন্টের শেষ সময়ে কঠোর শাস্তিও পেতে পারে দলটি। যদি এমনটাই হয়, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে নাও দেখা যেতে পারে মেসিকে।