বিপিএলের চলমান আসরে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে সাগরিকায় রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। এই দুই ব্যাটারের ঝড়ে রানের রেকর্ড গড়েছে বরিশাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশালের সংগ্রহ চার উইকেটে ২৩৮ রান। যা বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক শোয়েব মালিক। শুরুতে তার সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়েছিল। যখন মাত্র ৪৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বরিশাল।
এ সময় হাসান মাহমুদ ও হারিস রউফ দুজনেই দুটি করে উইকেট শিকার করেন। আনামুল হক ১৪ ও মেহেদী মিরাজ ২৪ করলেও রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহীম জাদরান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তখনও রংপুর ধারণা করতে পারেনি এরপর কি আসতে চলেছে তাদের ওপর। পরের গল্পটা যে শুধুই সাকিব আর ইফতিখারের। যেখানে দলটির বোলারদের চোখের পানি আর নাকের পানি এক করে ছেড়েছেন দুজন!
ইনিংসের বাকিটা সময় অবিচ্ছিন্ন থাকেন দুজন। যেখানে ৮৯ বলে গড়েন ১৯২ রানের রেকর্ড জুটি। এটি বিপিএল ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে তৃতীয় ও পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির কীর্তি।
ইনিংস শেষে সাকিব ৪৩ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে ৪৫ বলে ১০০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস উপহার দেন ইফতিখার। এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
ম্যাচটি জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে রংপুরকে। বরিশালের বোলিং সামর্থ্যের বিচারে যা প্রায় কঠিন বিষয়ই হবে দলটির জন্য। সাগরিকায় ঝড়ো ম্যাচের শেষ হাসি কারা হাসবে, তা জানতে অপেক্ষা আর কিছুক্ষণের।