বিপিএলের নবম আসর যত শেষ দিকে গড়াচ্ছে ততই যেন জমজমাট হচ্ছে ম্যাচগুলো। স্কোরকার্ডে রান কম থাকলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না কোনো দল। ফলে ম্যাচগুলো হচ্ছে বাঘে-সিংহে লড়াইয়ের মতো।
সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আরেকটি লো-স্কোরিং থ্রিলার ম্যাচ উপহার দিয়েছে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যেখানে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে কুমিল্লা। আসরে এটি দলটির টানা অষ্টম জয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১২১ রানে অল আউট হয় বরিশাল। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় কুমিল্লা। হাতে ছিল আরো ৯ বল।
রান তাড়া করতে নেমে ১১ রানে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জাকের আলি ১০, মোসাদ্দেক হোসেন ১ ও ইমরুল কায়েস ৫ রানে ফিরলে বেকায়দায় পড়ে কুমিল্লা। লিটন দাস ৩৬ রানে আউট হলে হারের শঙ্কা দেখা দেয় কুমিল্লা শিবিরে।
তবে উইন্ডিজ রিক্রুট আন্দ্রে রাসেল অনেকটা একা হাতেই দলকে জেতান। অন্যপাশে যোগ্য সঙ্গ দেন পাকিস্তানের খুশদিল শাহ। রাসেল ১৬ বলে ৩০ ও খুশদিল ১৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
অবশ্য কুমিল্লার জয় সহজে আসেনি। এক পর্যায়ে ম্যাচ হেলে ছিল বরিশালের দিকেই। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একসময় ৫ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান। শেষ ৩ ওভারে যা দাঁড়ায় ২৩ রানে।
মূলত সাকিবের করা অষ্টাদশ ওভারে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় আনেন রাসেল ও খুশদিল। বরিশালের হয়ে এবাদত দুটি এবং ওয়াসিম, সাকিব ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বল হাতে শুরুতেই সাফল্য পায় তার দল। দুই ওপেনার আনামুল হক বিজয় ও ফজলে রাব্বী ফেরেন যথাক্রমে ৩ ও ৮ রানে।
ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান বা ইফতিখার আহমেদও এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। এ দুজন যথাক্রমে ৪ ও ৪ রানে আউট হন। অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের ব্যর্থতার ভীড়ে একাই লড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
পঞ্চম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন রিয়াদ। করিম জানাত ৩২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেন ১৭ রানের ইনিংস।
কুমিল্লার বোলারদের মাঝে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ একাই শিকার করেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম ও আন্দ্রে রাসেল একটি করে উইকেট নেন।