তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। সবমিলিয়ে তুরস্কে হতাহতের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই ক্লান্ত উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এর ১১ মিনিট পরই আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। তুরস্ক-সিরিয়া ছাড়াও এ ভূমিকম্প পাশের সাইপ্রাস ও লেবাননেও অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এদিন ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল কাহরামানমারাস শহরে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুর্যোগের মাত্রা যতই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নিহতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তত বাড়ছে। ভয়াবহ এ দুর্যোগে হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে।’
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অক্তাই জানিয়েছেন, এ ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত নিহত ৫ হাজার ৮৯৪ জন এবং আহত ৩৪ হাজারের বেশি।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্প কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির কারণ হয়নি; সিরিয়াতেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যানুসারে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৩২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ঘোষণায় এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্প বিপর্যস্ত এলাকার অংশ হিসেবে ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।