সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের ১১২তম সুরা। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরক্তি, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য, ভক্তিপূর্ণ উপাসনা। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়। এ সুরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস।
সুরা ইখলাস সুরা নাসের পরে হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যুগে অবতীর্ণ হয়। এই সুরার আয়াত সংখ্যা ৪, রুকু সংখ্যা ১।
যে ব্যক্তি এ সুরাটি পাঠ করবে ও এর মর্মার্থের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি লাভ করে নিরেট তাওহিদবাদী হয়ে যাবে এবং আল্লাহর মুখলিস বান্দায় পরিণত হবে।
সুরাটি ছোট হলেও মর্যাদায় অগ্রগামী। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে নবী কারীম (সা.)-কে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী কারীম (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কুরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান (বুখারি: ৫০১৩)।
অর্থাৎ, সুরা ইখলাস একবার পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন খতমের সওয়াব মিলবে। তিনবার পাঠ করলে পুরো কুরআন পাঠের সওয়াব মিলবে। সুরা ইখলাস জান্নাত লাভের কারণ হবে। নবী কারীম (সা.)-এর কাছে একবার এক সাহাবি এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসি।’ তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে’ (বুখারি: ৭৭৪)।
আরেক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে দারিদ্র্যের অভিযোগ করলেন। তখন নবী কারীম (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি ঘরে ফিরবে, তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পড়বে।’ এ আমল করার কিছু দিনের মধ্যে তার অভাব দূর হয়ে যায়। (তাফসির আল-কুরতুবী)