সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
জাপানে দক্ষ চালক নিয়োগে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের ঘোষণা ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ স্বচ্ছ রাজনীতি ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে — আমিনুল হক শেখা আর প্রস্তুতিতে চোখ বাংলাদেশ অধিনায়কের মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে নেমেই নাচলেন ট্রাম্প জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে আমরা যেন কোনোভাবে আইনের বাইরে না যাই: সালাহউদ্দিন আহমেদ ৩১ দফা বাস্তবায়নের এম এ মালিকের গনসমাবেশে জনস্রোত বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক- ৪ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ নতুন আইনে বন্য প্রাণী হত্যায় জামিনের ব্যবস্থা থাকছে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

ভালোবাসা দিবসে ২৩ শিশুকে মুক্তি দিলো আদালত

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৬৫ বার পঠিত

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে রাজশাহীতে প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছে ২৩ শিশু। রাজশাহীর নারী ও শিশু আদালতের বিভিন্ন মামলার আসামি ছিল তারা।

মঙ্গলবার মুক্তি পাওয়া শিশুদের পলাশ ফুল দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানান আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে চারটি মাদক ও ১৬টি মারামারির মামলায় আসামি হয় এই ২৩ শিশু। প্রথমবারের মতো অপরাধী হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।

বেশ কয়েকটি শর্তে নিজ বাড়িতে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার তদারকিতে থাকবে তারা। মুক্তি পাওয়ার পর তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মতিনুর রহমান, পেশকার হেমন্ত বর্মণ ও সাঁটলিপিকার আবু সালেহ।

এ বিষয়ে প্রবেশন কর্মকর্তা মতিনুর রহমান বলেন, মামলার প্রকৃতি অনুযায়ী শর্তগুলো আরোপ করা হবে। এছাড়া সাধারণ কিছু শর্ত থাকবে। যেমন শিশুরা মাদকে জড়াতে পারবে না, বাল্যবিবাহ করতে পারবে না, মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না, কোনো মারামারিতে জড়াতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, এসব শিশুর পরিবারের কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। কনফারেন্সের সময় মামলার বাদীরাও উপস্থিত থাকবেন। দুই মাসের মাথায় আদালতে প্রথম প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দুই মাস পরপর একটি করে প্রতিবেদন আদালতে দিতে হবে। ছয় মাসে মোট তিনটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আকতার মিতা বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ২০ শিশু উপস্থিত ছিল। বাকি তিন জনের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়েছিল। পরে তাদের সবার মুক্তি দেয় আদালত। বিচারক রায়ে তার পর্যবেক্ষণে ভালোবাসার নানা দিক তুলে ধরে পরিবার, দেশ ও গুণীজনদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে জাতির কল্যাণে শিশুদের আত্মনিয়োগে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে, বিকল্প পন্থায় সংশোধনের সুযোগ পেয়ে খুশি এই ২৩ শিশুর অভিভাবকেরা। গত বছর একই আদালত একই নিয়মে আরও ৩৭ শিশুকে মুক্তি দিয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com