নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই স্বাধীনতা পাওয়া সহজ হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারে আছেন বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটি মানবিক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তারই যোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের মায়া ত্যাগ করে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে বার বার প্রমাণ করেছেন তিনি দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নির্ভীকভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের আপামর মেহনতি মানুুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারায় খুব সহজে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
তোফায়েল আহমদ বলেন, ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিকে পরাজিত করার কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই। কারণ দেশ আজ স্বয়ং সম্পূর্ণের কাছাকাছি। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয়তলার আব্দুস সালাম হলে ‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, লেখক-কলামিস্ট প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই পথেই এগোচ্ছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে যেন কোনো ষড়ষন্ত্র এবং অপশক্তি বাধা না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ২১, ৪১ ও ১০০ বছরের যে রূপরেখা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগ হলো কাঁচকাটা হিরা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ যতো বার ক্ষমতায় আসবে ততো বারই দেশের উন্নয়ন ত্বরিত গতিতে হবে।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল লক্ষ্য ছিল মেহনতি মানুষের মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তি এবং সাংস্কৃতিক মুক্তি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিভাজনের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগের বিকল্প আওয়ামী লীগ।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন থেকেই চক্রান্ত শুরু হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সেই চক্রান্ত, কূটকৌশল বুদ্ধিমত্তায় নসাৎ করে দেন।
সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে সূচনা বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস।