নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা। এটি মানবাধিকারের বৃহৎ হুমকির মধ্যে একটি। কারণ মানবাধিকার সুরক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এসডিজি বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ এখনও অধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করে চলেছে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। ফলে অনেক দেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার মধ্যে ছোট দ্বীপ, আর্কটিক, আফ্রিকা এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধিসহ সমুদ্র স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী কোনও স্থান নেই।’
‘বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে না। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল এক মিটার পানির নিচে ডুবে যাবে। ফলে অসংখ্য লোক আশ্রয় ও কর্ম হারাবে। কৃষি জমি হ্রাস পাবে। ফলে এসডিজি অর্জনের গতি হ্রাস পাবে,’ যোগ করেন আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কেবল এসডিজি অর্জনের গতি হ্রাস পাবে না। এতে জনগণের খাদ্যের অধিকার, পানি, স্বনির্ভরতা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও পরিবেশের অধিকার হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণে ইতোমধ্যে দুর্বল এবং সীমিত হয়ে যাওয়া অধিকারগুলোর ওপর দৃষ্টি দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের মানবাধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতি একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।