ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় জমি বিক্রি করে সেই জমি ক্রেতাকে না বুঝিয়ে দিয়ে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলফাডাঙ্গা থানার জনৈক সৈয়দ আশ্রাফ আলী বাসার ও বোয়ালমারী থানার মাইটকুমরা নিবাসী সিদ্দিক খানসহ সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে
এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক মশি শ্রাবণ বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বিষয়টি আমলে নিয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ উল্লেখ করেছেন, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা মৌজার ১১১ শতক জমি যার দলিল নং-৪৩০ তাং-৭/৩/২০১৬ ক্রমিক নং-৪৩৮ বহি নং-১ মূলে এবি মধুমতি এ্যাগ্রো লিঃ খরিদসূত্রে মালিক হন অতপর গত ১৭/০৪/২০১৬ ইং তারিখ উক্ত জমি সহ কোম্পানীটির এমডির নামের শেয়ার মালিকানা পরিবর্তনের জন্য জয়েন্ট স্টকের ১১৭ ফরম পুরন করে কোম্পানীর সকল নিয়মানুসারে নতুন এমডি সৈয়দ মুনছুরুল হক আজাদ হন এবং চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম কবির থাকেন এর কিছুদিন পর এবি মধুমতি এগ্রো লিঃ এর সমুদয় শেয়ার ও সম্পদ এমডি আজাদ এবং চেয়ারম্যান গোলাম কবির এরা মিলে গত ২৫ শে জুন ২০১৯ ইং সালে সাংবাদিক মশি শ্রাবণের দুই ভাই যথাক্রমে ওসিউর রহমান মৃধা কোম্পনীর এমডি ও ওয়ালিউর রহমান মৃধা কোম্পানীর পরিচালক, এবি মধুমতি এগ্রো লিঃ, সর্ব-পিতা: লুৎফর রহমান মৃধা এবং তার এক বন্ধু যিনি বর্ণিত জমিটি প্রথমে কোম্পানীর নিকট বিক্রি করেছিল সেই বন্ধু সৈয়দ আশ্রাফ আলী বাসারকে কোম্পানীর চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দিয়ে জয়েন্ট স্টকে পাঠানোর কিছু দিন পরেই আকস্মিক ভাবে কোম্পানীর এমডি সৈয়দ মুনছুরুল হক আজাদ ২০/০২/২০২০ ইং সালে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুদিন পরেই জনৈক সিদ্দিক খান ও সৈয়দ আশ্রাফ আলী বাসার সহ কিছু দুর্বিত্ত লুটেরাজ দখলবাজ চক্র উক্ত কোম্পানীর জমি থেকে অনেকগুলো গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিশেষ করে জনৈক সিদ্দিক খান, পিতা-মৃত মোঃ সোবাহান খান, এন আইডি নং:-২৯১১৮৯৫২২৪৩৭৭, সাংমাইটকুমরা, ডাক: শেখর, বোয়ালমারী, ফরিদপুর। এই ভূমি দস্যু চক্রটি সম্প্রতি মশি শ্রাবণ ও তার ভাইদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এই মর্মে জানায় যে, আলফাডাঙ্গা অঞ্চলের বর্ণিত জমির সীমানায় আসলে বা এ বিষয়ে প্রশাসন কিংবা কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক বিচার-আচারের চেষ্টা করলে এর পরিমাণ খুব খারাপ হবে।
অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, কোম্পানীর শেয়ার ও জমি বাবদ সৈয়দ আশ্রাফ আলী বাসার মশি শাবণ এর কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা আলফাডাঙ্গা কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে নিয়েছে এবং ২ লক্ষ টাকা মশি শ্রাবণের অফিস ৮০, কাকরাইল রুপায়ন করিম টাওয়ারে এসে গ্রহণ করেছে। এই বাসার পূর্বে কোম্পানীর নিকট জমি বিক্রি করে সৈয়দ মুনছুরুল হক আজাদকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে আজাদের থেকে কোম্পানী ও জমি ফেরত নেওয়ার জন্য মশি শ্রাবণকে দিয়ে আজাদকে ১২ লক্ষ টাকা প্রদান করিয়েছে এই বাসার! মশি শ্রাবণকে দিয়ে সৈয়দ আশ্রাফ আলী বাসার মোট ১৯ লক্ষ টাকা উক্ত কোম্পানী ও জমিতে বিনিয়োগ করানোর পর থেকে বাসার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে এমনকি প্রায় সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। উক্ত জমি থেকে বেশ কিছু গাছ আশ্রাফ আলী বাসার কাউকে না বলে অবিবেচক ও অন্যায়ভাবে কেটে নিয়েছে এবং বিক্রি করেছে এছাড়া জমির কিছু অংশ অবৈধভাবে বিক্রি করার অপচেষ্টা সহ কয়েকজন থেকে বায়নাপত্তন গ্রহণ করেছে। এই সুযোগে জনৈক ভূমি দস্যু সিদ্দিক খানসহ সহ স্থানীয় পান্নু চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে নিয়ে দখলবাজ সিদ্দিক খান জমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই চক্রটি মশি শবিণকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে যেন মশি শ্রাবণ ও তার ভাইয়েরা কেউ জমির সীমানায় না যায়। ভূমি দস্যু এই চক্রটি মশি শাবণের টাকা আত্মসাত করাসহ বর্ণিত জমি দখল ও বিক্রির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়টি স্থানীয় আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান জাহিদ সাহেব ও আলফাডাঙ্গা পৌর সভার সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার, স্থানীয় সমাজ সেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হাসান সহ সকলেই বর্ণিত বিষয়টি অবগত আছেন। উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট বিষয়টি লিখিত আকারে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন মর্মে আশ্বস্ত করার কথা বললেও অদ্যবধি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উক্ত বিষয়ের আলোকে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ নিজের নিরাপত্তাসহ কোম্পানী ও জমি সুরক্ষার স্বার্থে এবং তার বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরৎ পেতে বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।