ধুমধাম করে চলছে বিয়ের আয়োজন। মন্ত্র পড়াচ্ছেন পুরোহিত। এ অবস্থায় মদ খেয়ে মঞ্চেই বিভোর ঘুমে বর। এতে অন্য সবার মনের অবস্থা কি হতে পারে? তবে অন্যদের যায় হোক, রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়েন কনে। শেষমেশ বিয়েই ভেঙে দিয়েছেন কনে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের নলবাড়ি জেলায়। সেই বিয়েবাড়ির কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর, ধুমধাম করে চলছে বিয়ের আয়োজন। সবার অপেক্ষা বরযাত্রীর। অবশেষে বরযাত্রীরা এসে পড়লে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাদের গাড়ির ওপর। নামানো হবে বরকে। কিন্তু নামাতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। বর এতোটাই মাতাল যে গাড়ি থেকে নামতে পারছিলেন না। পরে কয়েকজন ধরাধরি করে তাকে কোনোরকমে বিয়ের মঞ্চে নিয়ে যায়। সেখানে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পুরোহিত মন্ত্র আওড়াতে থাকেন। কিন্তু বরকে কোনোভাবেই মন্ত্র বলানো যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও যখন কিছু হচ্ছিল না তখন রাগে বিয়েই ভেঙে দেন কনে।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে এর মধ্যেই লোকজন মঞ্চ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর মেঝেতে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন বর। বহু চেষ্টা করেও পুরোহিত তার সঙ্গে বরকে বিয়ের মন্ত্র পাঠ করাতে পারছেন না।
বরের নাম প্রসেনজিত হলোই। তিনি নলবাড়ি শহরের বাসিন্দা। কনের এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান ভালোই চলছিল। সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছিল। আমাদের পরিবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে তখন মেয়েটি বিয়ের মঞ্চে না বসার সিদ্ধান্ত নেয়। বরপক্ষের প্রায় ৯৫ শতাংশ লোকই মাতাল ছিল। আমরা গাঁও বুরহার (অসমীয়া গ্রাম্য প্রধান) সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশকে জানিয়েছি।
ঐ আত্মীয় আরো বলেন, বর এতটাই মাতাল ছিল যে, গাড়ি থেকে নামতেই পারেনি। বরের বাবা আরও বেশি মাতাল ছিল।
এ উদ্ভট ঘটনার পর ক্ষতিপূরণের দাবিতে নলবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কনের পরিবার।