মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় সংকুচিত শ্রমবাজার আর কর্মীদের নানা প্রতিকূলতার মাঝে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সরকারিভাবে মাত্র ২ লাখ টাকা খরচেই দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশিদের। চলতি বছরই বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক সাড়ে ৭ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
পীত সাগর পাড়ের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার উন্নত দেশটির শ্রমবাজার এখন বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থানে আগ্রহীদের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে বাড়ছে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা। ২০২২ সালে এক বছরেই রেকর্ডসংখ্যক ৫ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
আর বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানালেন, চলতি বছরেই রেকর্ডসংখ্যক সাড়ে ৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া।
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম, ইপিএসের আওতায় ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উৎপাদন শিল্প খাতে নিয়োগ পাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৩৫ জন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ভালো বেতন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত থাকায় দেশটির শ্রমবাজার ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে চাহিদা আসছে। কিন্তু যেকোনো চাহিদার ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয় যে কীভাবে সেখানে পাঠাব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্পূর্ণ সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হয় বলে কাজের নিশ্চয়তা শতভাগ। নেই প্রতারিত হওয়ার কোনো শঙ্কা। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। সঙ্গে কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী ব্যক্তিরা নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ ক্ষেত্রে একেকজন কর্মীকে খরচ করতে হবে ২ লাখ টাকা। যার মধ্যে ১ লাখ ফেরতযোগ্য জামানত। দক্ষিণ কোরিয়ার চাহিদা অনুসারে পর্যায়ক্রমে এই শ্রমিক পাঠানো চলমান থাকবে।