বিবাহিত জীবনে সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের জোরে। আর এই বিশ্বাস ভাঙার প্রবণতা কাদের মধ্যে বেশি তা জানতে গবেষকরা গবেষণা শুরু করলে খুঁজে পান এক বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা।
বিশেষজ্ঞরা ৩০৮ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালান। যাদের গড় বয়স ১৮-২৫ বছর। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীর ৭৮.৩ শতাংশ নারী আর পুরুষ ২১.২ শতাংশ।
গবেষকরা লক্ষ করেন, ব্যক্তিবিশেষে মানুষের ব্যক্তিত্বের রকমফের হলেও যারা বেশি অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যযুক্ত তারা সহজে স্বল্পমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। এদের মধ্যে কোনো ন্যায়নীতিবোধ কাজ করে না। দুর্ভাগ্যবশত এই প্রবণতা বেশি দেখা যায় পুরুষের ক্ষেত্রে।
গবেষক মিগুয়েল ক্লিমেন্টের নেতৃত্বে করা এই গবেষণা ছাড়াও দ্য নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত হওয়া একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিবাহিত জীবনে স্বামীরা সহজেই স্ত্রীর বিশ্বাস ভাঙে। আর জড়িয়ে পড়ে একাধিক সম্পর্কে।
নিউইয়র্কে প্রকাশিত বিভিন্ন বইতেও উঠে এসেছে পুরুষদের বিশ্বাসভঙ্গের একাধিক কারণ। ‘চিটিংল্যান্ড’ এমনই একটি বই।
এই বইতে ৬১ জন পুরুষের জীবন পর্যালোচনা করা হয় যারা সবাই তাদের স্ত্রীর বিশ্বাস ভেঙেছেন। আর বিশ্বাস ভাঙার কারণে তাদের মধ্যে অনুশোচনাও কাজ করতে দেখা যায়নি। বরং সেসব স্বামী দাঁড় করিয়েছে বিশ্বাস ভাঙার একাধিক কারণ।
কেউ বলেছেন, একাধিক সঙ্গী তার স্ত্রীর থেকেও তার জীবন মধুময় করে তুলতে পারে। অন্যরা বলছেন, তার জীবনে প্রতারণার বিষয়টি জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কারণ তিনি একই ছাদের নিচে স্ত্রীকে পেয়েও বাড়তি হিসেবে অন্য নারী সঙ্গও পেয়ে আসছেন।
গবেষকরা তাদের গবেষণায় কিংবা সংগৃহ তথ্যের ভিত্তিতে বইয়ের পাতায় পুরুষদের বিশ্বাস ভাঙার কাজে বেশি পেলেও অকারণে স্বামীকে সন্দেহ করা শুরু করবেন না। কেননা মনোবিজ্ঞান বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। তাই জীবনের বিশেষ পদক্ষেপ নিতে সমীক্ষার ওপর গুরুত্ব না দিয়ে নিজের বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সূত্র: মারকা, ইন্ডিয়া টুডে