কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছ পালা ও ব্যাপক ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টির কারণে মৌসুমী ফল, আম, লিচু, কলা, পেঁপে, ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েছেন ভেড়ামারাবাসী।
ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়কের উপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যানচলাচলের বিঘ্ন ঘটে। গতকাল মঙ্গল বার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২-৩ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ ছিলো না। শেষ রাতের দিকে বিদ্যুৎ লাইন চালু হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। আর এই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট। বৃষ্টির সঙ্গে তুমুল ঝড়ো হাওয়ায় প্রায় শতধিক কাচা ঘর-বাড়ি পড়ে গেছে। ঘরের টিন, মৌসুমী ফল, গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙে পড়ে বিভিন্ন সড়কে।
ছোট বড় শতাধিক যানবাহনের লম্বা লাইন জমে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গভীর রাত পযন্ত সড়ক থেকে গাছটি অপসরণের চেষ্টা করে গাড়ি ও বিদ্যুৎ লাইন চালু করে। ঝড়ে আমের ক্ষতি হয়েছে বেশি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে পেঁপে, ধান, ও কলার ও ক্ষতি হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের কারণে কারো প্রাণহানি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমায় স্বস্তি মিলেছে।
ভেড়ামারা চাকরিজীবী নাইম রহমান বলেন, টানা গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছিল। টানা গরমের পর বৃষ্টি হওয়ায় ভালো লাগছে। এতে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি।