পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার পশু। এসব পশুর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত, ভাতের মাড় ও খৈল খাইয়ে মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, ঝালকাঠি জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে আঠারো হাজার ১২১টি। আর প্রস্তুত রয়েছে আঠারো হাজার ৮৬২টি। এসব পশুর মধ্যে ষাড় ৮ হাজার ১১১টি, বলদ তিন হাজার ২৩১টি, গাভি দুই হাজার ১৮৮টি, মহিষ ৩৭টি, ছাগল পাঁচ হাজার ২৯৬ টি ও ১৭টি ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
কৃষক ও খামারিরা জানান, কেউ বাড়ির গোয়ালে আবার কেউ পারিবারিক খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।
সদর উপজেলার দারাখান গ্রামের ওয়ালিউর রহমান জানান, তার পারিবারিক খামারে দেশি-বিদেশি মিলে ১০টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হচ্ছে। এ খামারে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের পশু রয়েছে।
সদর উপজেলার ডুমুরিয়া এলাকার কঙ্কন ব্যাপারী জানান, ১২টি গরু নিয়ে পারিবারিক খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। এর মধ্যে চারটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভি এবং কোরবানিতে বিক্রির জন্য পাঁচটি বলদ রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. মো. ছাহেব আলী জানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জেলার বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিটি হাটে ব্যাংকের লোক থাকবে। গবাদি পশু ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং কিউআর কোড ব্যবহার করে ই-ব্যাংকিং লেনদেন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, জেলায় প্রায় ১৯ হাজার পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে। জেলার প্রতিটি উপজেলার খামার পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ ওষুধ দিচ্ছি।