ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা। ইউক্রেন এখন পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে সাতটি গ্রাম ছিনিয়ে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই তিন নেতা আলোচনা করেছেন যে, কীভাবে ইউক্রেনকে আরো সাহায্য করা হবে এবং কীভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবে? ইউক্রেনকে আর কী সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে?
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব। আমরা ইউক্রেনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছি। আগামী দিন ও সপ্তাহেও সেই সাহায্য করে যাব।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের এই পাল্টা আঘাত হানা আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস চালু থাকবে। আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব। তারা যেন আরো এলাকা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসতে পারে, তা দেখব। তাহলেই ভালো অবস্থায় থেকে আলোচনা শুরু করতে পারব।
সোমবার প্যারিস পৌঁছান পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা। এরপর আসেন শলৎস। ডুডা বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব এবার অনুমোদন করা উচিত।
ইউক্রেনও আবেদন জানিয়েছে, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যেন তাদের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা ন্যাটো-ইউক্রেন কমিশনের জায়গায় নতুন ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল গঠন করার কথা বলেছে। তারা মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ও সিদ্ধান্ত নেবে।
শলৎস বলেছেন, এখন প্রয়োজন হলো, ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাওয়া। যতদিন দরকার আমরা সেটাই করে যাব।