আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ঈদুল আজহা। তাই শেষ সময়ে কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনা অঞ্চলের খামারিরা। বিভাগের ১০ জেলায় এবার চাহিদার তুলনায় মোট তিন লাখ বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর দাম ও আশানুরূপ বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।
খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন খামারের সরেজমিন চিত্র বলছে, শেষ সময়ে কোরবানির পশুর বাড়তি যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও কর্মীরা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক গরুর হাট বসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচাও। খুলনা বিভাগে এবার কোরবানির হাট বসবে ১৬৩টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, বিভাগের ১০ জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা সাড়ে ৮ লাখের মতো। যার বিপরীতি লালন পালন করা হয়েছে ১২ লাখের বেশি পশু।
তবে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি থাকলেও গো-খাদ্য ও নানা উপকরণসহ সার্বিক লালন-পালনে খরচ বেড়েছে। এতে পশুর দাম গতবারের তুলনায় বেশি বলছেন খামারিরা, ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এক খামারি বলেন, গমের ভুষি, মুগ ভুষি, সাইলেস এরকম গো-খাদ্যের দাম বাজারে অনেক চড়া। যে কারণে আমাদের কোরবানির পশু লালন-পালনে খরচ অনেক বেশি হয়েচে। সে অনুযায়ী দাম চাইলে সহজে ক্রেতা মিলছে না। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি।
এদিকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরার শঙ্কাও রয়েছে তাদের। আরেকজন খামারি বলেন, যদি ভারত থেকে গরু ঢুকে, তাহলে আমাদের আশা শেষ।
গত তিন মাস ধরে খামারিদের প্রশিক্ষিত করার কথা জানিয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ পরিচালক ডা. এবিএম জাকির হোসেন বলেন, খামারিরা প্রতিবারই লাভবান হন। হয়তো কম হয়, না হয় বেশি হয়। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যদি কোরবানির পশু না আসে, তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালোই হবে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে এবার ঝিনাইদহ জেলায় সবচেয়ে বেশি দুই লাখ চার হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।