নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষকরা। তারা জানান, শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ, সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করণ, পাঠ্যক্রম সংশোধন ও মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র পাঠ্যক্রম প্রণয়ন প্রয়োজন।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে শিক্ষক নেতারা এসব দাবি উপস্থাপন করেন। সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হানিফ খান।
সংগঠনের সভাপতি এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কথা বলা হয়েছে। জাতীয়করণ শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার, এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি থাকার পর ও জাতীয়করণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রায় ১ হাজার প্রতিষ্ঠানের ৪৫ হাজার শিক্ষক বিনা বেতনে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আঞ্জুমান আল ইসলাম বাংলাদেশ সভাপতি আল্লামা হুসামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শিক্ষা উন্নয়নের সংগঠনের মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
১১ দাবিগুলো হলো- ১. ইবতেদায়ি স্তরকে জাতীয়করণ করা: ২: প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত ২০১৯ সালের ইবতেদায়ি নীতিমালার বাস্তবায়ন; ৩. শিক্ষাক্রম সংশোধন; ৪. প্রাথমিকের ন্যায় সুযোগ সুবিধা প্রদান; ৫. নতুন ইবতেদায়ি মাদরাসা মুঞ্জুরীর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার; ৬. শিক্ষকদের পি টি আই আদলে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা; ৭. প্রাথমিকের শিক্ষকদের ন্যায় বেতন কাঠামো নির্ধারণ; ৮. মঞ্জুরীপ্রাপ্ত বর্তমানে বিলুপ্ত ১৬ হাজারের অধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা সহজ শর্তে পুনরুজ্জীবিত করা: ৯. বেসরকারি প্রাথমিক ও এনজিও স্কুলের মতো কোড নম্বর দিয়ে স্বনামে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ও বিনামূল্যের বই বিতরণ; ১০. প্রাক-প্রাথমিকের মতো প্রাক-ইবতেদায়ি শ্রেণি চালু করা এবং ১১.প্রাথমিকের ন্যায় অবকাঠামো ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা।