ঘড়ির কাঁটা ধরে ১২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে লাগবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে! নেই কোন সিগন্যাল। স্বপ্ন নয়, রাজধানীবাসীর জন্য সত্যি সত্যি এ সুখবর নিয়ে আসছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম এ এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হচ্ছে আগামী মাসে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। প্রস্তুত হচ্ছে ওঠানামার র্যাম।
এটিই দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যেই এ এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছানো যাবে। আসলেই কি তাই? এতটুকু সময়ে ঢাকা শহরের এতোটা পথ পাড়ি দেয়া যায়? এটি সরেজমিনে দেখতেই গিয়েছিলো সময় সংবাদ।
বিমানবন্দর থেকে গাড়ি নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর শুরু হয় ছুটে চলা। নিচের সড়কে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল আসতেই যেখানে ধৈর্যহারা যানবাহনের দীর্ঘ লাইন; ওপরে তখন এক মিনিট পার হতে না হতেই কুড়িল। সেখান থেকে চোখের পলকেই বনানী।
একটু ওপর দিয়ে চিরচেনা ঢাকা শহরকে অচেনা মনে হলেও বনানী যেতেই হঠাৎ চোখের সামনে ধরা দেবে মহাখালী।
সাত আট মিনিট যেতে না যেতেই বিজয় সরণি। এরপর তেজগাঁও দিয়ে ফার্মগেট। পুরো এ পথ পাড়ি দেয়ার পর দেখা গেলো সময় লেগেছে ঘড়ি ধরে ঠিক ১২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। এক্সপ্রেসওয়েতে এখনো কিছু কাজ চলছে। ফলে চলার সময় ডানে-বামে লেন পরিবর্তন করতে হয়। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেলে এটি আর করতে হবে না। পাশাপাশি গাড়ির গতিও বাড়বে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সেই ১০ থেকে ১২ মিনিটেই গাড়ির স্বাভাবিক গতিতে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যাওয়া সম্ভব। এমনকি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে সময় আরও কিছুটা কম লাগতে পারে।
এ পথে বিমানবন্দর, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি ও ফার্মগেটে থাকবে ওঠানামার ব্যবস্থা।
এক্সপ্রেসওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাধাহীন চলাচল। অর্থাৎ টোল প্লাজায় একবার টোল দেয়ার পর আর কোথাও থামতে হবে না।
নতুন এ পথ যেনো দেখাচ্ছে নতুন দিনের দিশা। এটি অমিত সম্ভাবনার পথ। এ পথ দীর্ঘদিন যানজটে নাকাল নগরবাসীর জন্য দেখাচ্ছে নতুন দিশা। যার মাধ্যমে নগরের গণপরিবহনে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। চলাচলে স্বস্তি ফিরবে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পথে পথে এখন চলছে মহাযজ্ঞ। শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে গর্বিত এখানকার শ্রমিকরাও। তারা বলছেন, এতো বড় প্রকল্প কাজ করতে পেরে তারা আনন্দিত, গর্বিত।
চলছে রোড মার্কিং আর লাইট পোস্টের কাজ। দুই-একটি র্যামের ফিনিশিং কাজ সেরে অক্টোবরেই তৈরি হবে এ পথ।
পুরো পথটা বিমানবন্দর থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত। তবে প্রথম ভাগ আর দ্বিতীয়ভাগের এ অংশ সেপ্টেম্বরে চালু হলে তা নগরের যানজট কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।