বরগুনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি প্রবাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বৈরি আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন।
রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক ও আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো. মাহাতাব হোসেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি প্রবাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বৈরি আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন।
অটোচালক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, কয়দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিতে গাড়ি চালাতে পারিনি। ছেলে মেয়ের প্রাইভেটের টাকা দেওয়ার সময় এসেছে। এখন পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
তালতলী উপজেলার বড় আম খোলার মো. সাব্বির বলেন, কদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আমার পুকুরসহ এলাকার অনেকের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
এমবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ইলিশের ভরা মৌসুমেও মাছ শিকার করতে পারছি না। বঙ্গোপসাগর এতটাই উত্তাল, সাগরে ট্রলার নিয়ে টিকে থাকাই দায়।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ১ আগস্ট সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উত্তাল হতে থাকে সাগর। ওইদিনই জেলেরা তীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার ট্রলার পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, এ বৃষ্টি আরো ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বরগুনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।