মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জনপ্রিয়তা অপ্রতিদ্বন্দ্বি আবদুল হাই বাবলু তীব্র তাপপ্রবাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ সবুজবাগ থানার পক্ষ থেকে খাবার পানিও স্যালাইন বিতরন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল পিরোজপুরে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জিয়াউল গাজী সহ ১০ প্রার্থীর মনোয়নপত্র দাখিল উত্তরায় ট্রাফিক পুলিশের মাঝে ওরস্যালাইন বিতরণ। পাঁচশত টাকায় স্ত্রীকে বন্ধ, গনধর্ষনের স্বীকার স্ত্রী,স্বামী সহ আটক-৪ বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিধিনিষেধ তুলে দিলো কুয়েত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার গাজীপুরে জব্দ করা অবৈধ চিনি পেল এতিমরা

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে শত্রুরা বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছিলো: দয়াল কুমার বড়ুয়া

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪৯ বার পঠিত

একাত্তরের পরাজিত শক্তির সুগভীর ষড়যন্ত্রে প্রাণ হারাতে হয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতিকে। মীরজাফরের ষড়যন্ত্রে নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকাণ্ডের পর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি মর্মান্তিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। এ ঘটনার মাধ্যমে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি জাতির ঘাড়ে চেপে বসে।
১৫ আগস্টের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের যে কালো অধ্যায়ের সূচনা করে তার পরিণতিতে বারবার বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িকতা ও দ্বিজাতিতত্তে¡র বিভেদ নীতিকে বাংলাদেশের মানুষ কবর দিয়েছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস চলে ১৫ আগস্টের পর থেকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ খুনিচক্র এবং তাদের দোসরদের সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হয় দেশবাসীর প্রত্যাশার পরিপূরক হিসেবে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
আগস্ট মানেই জাতির বেদনা বিধুর শোকের মাস, এক রক্ষক্ষয়ী অধ্যায়ের নাম। স্বাধীন বাংলাদেশে এ মাসে নেমে আসে বাঙালি জাতির ওপর এক কালো থাবা। বাঙালির ইতিহাসে কলঙ্কিত এক অধ্যায় সূচিত হয়েছে আগস্ট মাসেই। ইতিহাসের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বাঙালি জাতি পিতৃ হত্যার বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হলেও আমাদের প্রতিটি শিরা উপশিরা ও ধমনীতে ঘাতকদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার উদ্রেক করে এ মাস।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম মহানায়ক। সেরা মুক্তি সংগ্রামী, সেরা রাষ্ট্রনায়ক। জননন্দিত নেতা হিসেবে তার তুলনা ছিলেন তিনি নিজেই। দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ও দায়বোধ তাকে মহীরূহে পরিণত করেছিল। ব্যক্তি শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অস্তিত্বের শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টায় এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করে অপরিণামদর্শী ঘাতকরা। অকৃতজ্ঞ ঘাতকরা ১৫ আগস্ট কালোরাতে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, ঘৃণ্য নরপশুরা একে একে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে। জঘন্যতম এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি, কর্নেল জামিলসহ ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয় স্বজনকে।
আজ ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম ও কলঙ্কজনক অধ্যায়ের দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে যা ঘটেছিল তা মানবেতিহাসের ঘৃণ্যতম অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সর্বোপরি গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি এ ঘটনা ছিল ভয়ঙ্কর কুঠারাঘাত।
বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের শত্রুরা তাকে হত্যা করে দেশকে নরকে পরিণত করেছিলো। আল্লাহর রহমতে তার সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতু নির্মাণ, সমুদ্র সীমানা বিজয়, শ্রমীকদের মজুরি বৃদ্ধি, ফ্লাইওভার নির্মাণ, জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, দারিদ্রতার হার নিম্ন পর্যায়ে, যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বিনামূল্যে প্রত্যেকেটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ব্যবস্থা, রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র, বিভিন্ন জেলায় বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, বিভিন্ন জেলায় শিল্প পার্ক নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোন নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও কালভার্ট নির্মাণ, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, কৃষিতে সফলতা, জংগী ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা, এশিয়া হাইওয়ে রোড প্রকল্প, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, নারীর ক্ষমতায়ন, বিধবা ভাতা প্রদান, মাতৃত্বকালিন ছুটি বৃদ্ধি, বয়স্ক ভাতা প্রদান, মাতৃকালীন ভাতা প্রদান, ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যকর, মেট্রোরেল প্রকল্প, হাতির ঝিল প্রকল্প, এলিভেটেড একপ্রেস প্রকল্প, মাদক নিধন, ভিক্ষুক মুক্ত করণ, অসংখ্য প্রাইমার স্কুল সরকারী করণ শেখ হাসিনা সরকারের বড় অবদান।

লেখক: দয়াল কুমার বড়ুয়া, কলামিস্ট ও জাতীয় পার্টি নেতা, সভাপতি, চবি অ্যালামনাই বসুন্ধরা। সংসদ সদস্য প্রার্থী ঢাকা-১৮ আসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com