স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শান্তা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শান্তার। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল হাওলাদার (৩৫)।
নিহত শান্তা মাদারীপুর সদর উপজেলার করদী গ্রামের হাবিব খাঁয়ের মেয়ে। অভিযুক্ত সাইফুল হাওলাদার ডাসার উপজেলার সনমান্দি এলাকার আকবর হাওলাদেরর ছেলে। কিছুদিন আগেই আনসার বাহিনীতে চাকরি পান অভিযুক্ত এই যুবক। বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত তিনি। শান্তা এবং সাইফুলের ১৩ মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে সাইফুলকে ভালোবেসে বিয়ে করেন শান্তা। তবে বিয়ের পরই খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। সম্প্রতি অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সাইফুল। বিষয়টি টের পেয়ে তাতে বাধা দিলে শান্তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন।
একপর্যায়ে গত ২০ আগস্ট সকালে শান্তাকে ঘোরানোর কথা বলে মহিষেরচর এলাকায় নিয়ে যান সাইফুল। পরে কোমলপানীয়র মধ্যে বিষ মিশিয়ে শান্তাকে তিনি খাইয়ে দেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। পরে শান্তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শান্তার। স্বজনদের অভিযোগ, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে শান্তাকে।
এ নিয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।