মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

বিএনপির অপচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৬ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নস্যাতের যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি আবারো দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। নির্বাচন তাদের উদ্বেগের বিষয় নয়। তারা আবারো জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে’ এসব বলেন তিনি।

২০০৮ সালের নির্বাচনেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ৩০টি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এ কথাটা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে, ওরা ভোট করতে আসে না এবং ভোটও পায় না। কারণ, ওরা জঙ্গিবাদী, লুটেরা, সন্ত্রাসী। মানুষের শান্তি ও সম্পদ ওরা কেড়ে নেয়। মানুষের ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়ে সেখানে পুকুর কেটে কলাগাছ লাগিয়ে দিতেও আমরা তাদের দেখেছি। কাজেই লুটেরা, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসীরা মানুষের কোনো কল্যাণ করতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারিরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা হেয়প্রতিপন্ন করেছে।

তিনি বলেন, ইলেকশন তাদের কথা নয়, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলতে চায়। কারণ, তাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি, তারা নাকি এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা সেই ক্ষমতাসীনদের হাতে তৈরি সংগঠন ঐ বিএনপি।

সরকারপ্রধান বলেন, সংবিধানে যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল, সেই সংবিধান মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধী এবং পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীদের যারা রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে- তারা এদেশের কল্যাণ কোনোদিন চাইতে পারে না, তারা চায় না। তারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। অন্যদিকে যখন আজকের এই বাংলাদেশ (উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে) এবং আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখনই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রকাশনা মাতৃভূমি’র বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে স্বাগত জানান।

ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

মহাসমাবেশে শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের বর্তমানকে উৎসর্গ করার জন্য এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার জন্য লাখো শিক্ষার্থীকে শপথ পাঠ করান ছাত্রলীগের সভাপতি।

কবিগুরুর কবিতার পংক্তি “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই? নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”- উদ্ধৃত করে জাতির পিতার কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার সেই আদর্শ নিয়েই পথচলা। আমার কোনো ভয় নেই, দেশের মানুষকে ভালোবাসি, স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা ’৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আমি সেটাই তোমাদের কাছে চাই। শুধু ’৪১ এ থেমে থাকবে না বাংলাদেশ, ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যানও আমি করে দিয়ে গেছি। কাজেই এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, অতন্ত্র প্রহরীর মতো ছাত্রলীগকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। সব থেকে বড় কথা শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি-ছাত্রলীগের মূলনীতি। এই নীতি মেনে ছাত্রলীগকে চলতে হবে।

‘আওয়ামী লীগের জন্য তার ছাত্রদলই যথেষ্ট’- খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর আমি ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম কাগজ-কলম। অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যারা চোখে দেখেন না তাদের তার সরকারের করে দেওয়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে চক্ষু পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দেন তিনি।

পেনশন নিয়ে অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু নেতা বলছে পেনশন নাকি নির্বাচনী অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না, তাই অন্যের সাফল্য দেখতে পারে না। আমি ছাত্রলীগকে বলবো- তাদের দায়িত্ব নিতে হবে, মানুষকে বলতে হবে পেনশনের টাকা খোয়া যাবে না। মানুষের ভবিষ্যতের জন্য এই পেনশন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com